মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকায় বসবাসকারী এক গৃহবধূ সম্প্রতি স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্তের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। এই বর্বরতার মাত্রা এখানেই শেষ হয়নি; বরং তারা পুরো ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, যা ভিকটিমের জন্য মানসিকভাবে আরও ভয়ানক একটি অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়।
ঘটনার খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মানবাধিকারকর্মীদের একাংশ উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এরপরেই হাইকোর্ট জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি আমলে নেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।
২০২৫ সালের ২৯ জুন, বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্নলিখিত আদেশ প্রদান করেন:
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ।
ভিকটিমের ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী শুনানির দিন ১৪ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এই ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানিয়েছেন:
মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিডিও ধারণ ও প্রচারে জড়িত আরও চারজন — অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু — কে কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সবাই মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং এই ঘটনায় জড়িত আরও কেউ থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ এক নতুন বার্তা দিচ্ছে। দেশে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা ও সহমর্মিতার বিকল্প
0 Comments