নিজস্ব প্রতিবেদক | হাতীবান্ধা

|
ঝালকাঠির সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস এবং ডিম ও ছানা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোববার (২৯ জুন) বিকেলে তাঁকে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মোবারক আলী ফকির (৬৫)। তিনি পূর্ব গুয়াটন এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে পূর্ব গুয়াটনের সড়কের ধারে থাকা একটি পুরোনো তালগাছ কেটে ফেলা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই গাছটি বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছ কাটার সময় বাসাগুলো নিচে পড়ে যায়, ডিম ভেঙে যায় এবং ছানাগুলো মাটিতে পড়ে মারা যায়।
গাছটি মোবারক আলী ফকিরের জমির পাশে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জায়গায় অবস্থিত ছিল। তিনি স্থানীয় মিজানুর রহমান নামে একজনের কাছে গাছটি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ফারুক হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি তাদের সহযোগিতা করেন।
এই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান, যাতে সরকারি জায়গায় গাছ কাটার অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলাটি করেন ঝালকাঠি সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, যেখানে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী বাবুই পাখির ছানা ও ডিম ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক ছিলেন। ডিবি পুলিশ প্রধান আসামি মোবারক আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। এখনো পলাতক রয়েছেন মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, “আসামি মোবারক আলীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুজন পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
0 Comments