Header Ads Widget

ইউক্রেনের অভিযোগ: রাশিয়া অধিকৃত এলাকা থেকে গম আমদানিতে বাংলাদেশের বিপদ?

 

বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতিতে যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা এবং বাণিজ্য নিয়ে চলছে এক জটিল খেলা। এই প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে একটি নতুন বিতর্ক—রাশিয়া


অধিকৃত ইউক্রেন অঞ্চলের গম বাংলাদেশ আমদানি করছে কি না
, এবং তা যদি সত্যি হয়, তাহলে কী ধরনের কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক পরিণতি আসতে পারে?

🔺 ইউক্রেনের অভিযোগ কী?

রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন দাবি করেছে—রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে তাদের দখলকৃত কৃষিভূমি থেকে উৎপাদিত গম নিজেদের নামে রপ্তানি করছে, যার একটি বড় অংশ বাংলাদেশেও এসেছে। ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস থেকে ঢাকায় একাধিকবার এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব গম “চুরি করা” এবং তা আমদানি করলে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।


📩 ইউক্রেন যা বলছে

ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেকসান্দার পলিশচুক এটিকে “অপরাধ” বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার দাবি, রাশিয়া গোপনে ইউক্রেন অধিকৃত অঞ্চলের গমের সঙ্গে নিজস্ব উৎপাদিত গম মিশিয়ে রপ্তানি করছে। ফলে পণ্যের উৎস শনাক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

চিঠিগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন চারটি জাহাজের নাম ও রুট উল্লেখ করে ঢাকাকে আমদানি বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে।


🇧🇩 বাংলাদেশের অবস্থান কী?

বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা "চোরা গম" আমদানি করে না এবং কোনো অনিয়মিত উৎস থেকে গম কেনা হয় না। বেসরকারি খাতে গম আমদানি বেশি হলেও সেগুলোর উৎস যাচাই করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

ঢাকার রুশ দূতাবাসও ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের অভিযোগ “বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন” বলে দাবি করেছে।


⚠️ ইউক্রেন কী পদক্ষেপ নিতে পারে?

রাষ্ট্রদূত পলিশচুক জানিয়েছেন, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীদের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানাতে পারে। শুধু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নয়, অনুমোদনকারী সরকারি সংস্থাগুলোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

ইইউর এক মুখপাত্র জানান, আপাতত জাহাজগুলো নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই, তবে ভবিষ্যতে উৎপত্তি ও প্রভাব বিবেচনায় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।


🌾 গমের উৎস আসলে বোঝা যায়?

রুশ এক গম রপ্তানিকারক রয়টার্সকে বলেন, গমে হীরার মতো কোনো উৎস চিহ্ন থাকে না, ফলে বোঝা প্রায় অসম্ভব। রাশিয়ার বন্দরে বোঝাই হওয়ার সময় উৎপত্তির উৎস স্পষ্ট জানা যায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Post a Comment

0 Comments